বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
প্রতারনা মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার জামিন আবেদনের বিরোধীতা করায় আইনজীবী ও মামলার বাদীর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর লুৎফর রহমান সড়কে মাইক্রোবাসে আসা একদল সন্ত্রাসী এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এতে বরিশাল জজ আদালতের ক্রিমিনাল ও ফৌজদারী আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৃধা ও মামলার বাদী এ্যাডভোকেট এমএ জলিল আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৃধা (৬০) কে ওই রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নান মৃধা জানান, ‘একটি প্রতারনা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার জামিনের বিরোধীতা করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৃধা। বিরোধীতা করা সত্যেও আদালত আগামী ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত আপশ সর্তে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে আদালতে জামিনের বিরোধীতা এবং মামলা করার জের ধরে গত রোববার রাতে ব্যাংক কর্মকর্তার নির্দেশে জমি ক্রয়কারী ১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত ও একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লাসহ ৪-৫ জন মিলে আইনজীবী ও বাদীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পরে স্থানীয় ছুটে আসলে হামলাকারীরা মাইক্রোবাস যোগে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আহত আইনজীবী আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলা দায়েরে করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান নগরীর নথুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কে তাদের মালিকানাধীন ১৬ শতাংশ জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে স্থানীয় এ্যাডভোকেট এমএ জলিলের সাথে বায়না চুক্তি করেন। এজন্য বিভিন্ন সময় জলিলের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকাও নেন ব্যাংক কর্মকর্তা।
কিন্তু সাইদুল ও তার স্ত্রী জলিলের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে গোপনে অধিক মূল্যে ওই জমি অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। এজন্য জমি ক্রয় বাবদ দেয়া অগ্রিম টাকা ফেরত চান জলিল। তা না দেয়ায় গত ৪ মাস পূর্বে জলিল বাদী হয়ে প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:**প্রতারণা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গ্রেফতার।